পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইন্ধন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের যে ভিডিও ফুটেজ পাচ্ছি তাতে আন্দোলনকারীদের প্রায় সবাই বিএনপির অ্যাকটিভিস্ট। আমরা দেখেছি কুষ্টিয়ার এক নেতা কোনাবাড়িতে শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছিল। এরকম অনেক স্থানে যেগুলো ক্যামেরাবন্দি হয়েছে এবং ধরা পরেছে তাদের সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট বলে দেখা গেছে। আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এরা নিরীহ শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছেন। তাদের জড়ো করছেন। সর্বক্ষেত্রে ফেল করে শ্রমিকদের দিয়ে সফলতা পাওয়া যায় কিনা সে পথ খুঁজছেন। তাদের যে বেতন বাড়ানো হয়েছে তার চেয়ে বেশি দাবি থাকলে তা নিয়ে ফের আলোচনায় বসতে পারেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবাই একসঙ্গে বসে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী এই বেতন বাড়ানো হলো। ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। তাদের মনে হয় অনেকের সংশয় রয়েছে, দ্বিধা রয়েছে। শুনতে পাচ্ছি সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেড- এগুলো নিয়ে সংশয়। এগুলো নিশ্চয় মালিকপক্ষ সমাধান করবেন। সমাধানের পথ আগুন নয়। সমাধানের জন্য রাস্তা অবরোধ করা না।
প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরে ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করে মজুরি বোর্ড। এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
এদিকে মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।